সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: রাশিয়া-আফ্রিকা সামিটে আলোচনা ও বিতর্ক হতে পারে খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে। মস্কোয় অনুষ্ঠিত হবে দু’দিনের সামিট।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই বৈঠক হওয়ার কথা। যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে এই সামিটের আয়োজন করেছে রাশিয়া। কিন্তু প্রতিবার এই সম্মেলনে যত দেশ যোগ দেয়, এবার তাদের অনেকেই যাচ্ছে না। ২০১৯ সালে শেষবার এই সামিট হয়। সেখানে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ৪৫ জন সদস্য বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। এবছর সেখানে যোগ দিচ্ছেন মাত্র ১৭ জন সদস্য।
মস্কোর বক্তব্য, পাশ্চাত্যের দেশগুলো আফ্রিকার দেশগুলোকে ভয় দেখিয়ে সামিটে যোগ দিতে দিচ্ছে না। রাশিয়ার সাথে এ বৈঠকে যোগ দিলে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে, এমন ভয় আছে দেশগুলোর।এ কারণেই তারা সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছে না বলে রাশিয়ার অভিযোগ। পাশ্চাত্যের দেশগুলো অবশ্য একথা মানতে রাজি হয়নি।
তবে বৈঠকে যারা যোগ দিচ্ছেন, তারাও রাশিয়াকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, বৈঠকের মূল আলোচনা খাদ্য সুরক্ষা এবং আফ্রিকায় খাদ্য সরবরাহ নিয়ে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বেশ কিছুদিন ধরে অবরুদ্ধ ছিল কৃষ্ণসাগর। ফলে ইউক্রেনের সমস্ত খাদ্যশস্য-বোঝাই জাহাজ আটকে পড়েছিল। পরে জাতিসঙ্ঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। রাশিয়া ইউক্রেনের জাহাজের জন্য কৃষ্ণসাগরের রাস্তা খুলে দেয়।
চলতি মাসে রাশিয়া ওই চুক্তি বাতিল করেছে। শুধু তা-ই নয়, চুক্তি বাতিলের কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে বোমাবর্ষণ করে রাশিয়া। এই বন্দর থেকেই খাদ্যশস্য জাহাজে তোলা হয়। রাশিয়া এই চুক্তি বাতিল করায় সঙ্কটে পড়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। ইউক্রেন খাদ্য সরবরাহ না করলে আফ্রিকাজুড়ে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে। সামিটে এ কথা বলা হবে। অন্য দিকে রাশিয়ার বক্তব্য, মস্কো আরো কম দামে আফ্রিকাকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করবে। অর্থাৎ, আফ্রিকা ইউক্রেনকে এই বাণিজ্য থেকে বাইরে ঠেলে দিতে চাইছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাশিয়ার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। এভাবে খাদ্য সরবরাহের যে ভারসাম্য তা বজায় থাকবে না। আফ্রিকার নেতারা রাশিয়াকে ওই কথা জানাবেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে